ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

নকল মোবাইল ফোন বানিয়ে বিক্রি চলতো অনলাইন-কুরিয়ার সার্ভিসে 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩০  
আপডেট :
 ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

নকল মোবাইল ফোন বানিয়ে বিক্রি চলতো অনলাইন-কুরিয়ার সার্ভিসে 
নকল মোবাইল বানানোর সঙ্গে জড়িত চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের নকল মোবাইল ফোন বানাচ্ছে এক দল প্রতারক। আর এসব অনলাইন ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিক্রি করা হতো। নকল মোবাইল বানানোর সঙ্গে জড়িত চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, রাজধানীর অভিজাত শপিং মল ইস্টার্ন প্লাজায় এসব যন্ত্রাংশ দিয়ে বানানো হচ্ছিল নকল ফোন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আল-আমিন হোসেন (২৪), মো. শিমুল (১৯) ও মো. রাসেল (৩১)। আল-আমিন হোসেন ৮ম শ্রেণি, শিমুল এইচএসসি ও রাসেল পঞ্চম শ্রেণি পাস। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল তৈরির যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩১৭টি নকল মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। রাজধানীর কলাবাগানে ইস্টার্ন প্লাজায় শনিবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকলেও তারা তৈরি করতে পারেন মোবাইল ফোন। তবে এসব মোবাইল ফোন অরজিনাল ব্র্যান্ডের নয়। বিভিন্নভাবে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফোনের মতো হুবহু নকল ফোন তৈরি করে আসছিলেন। এসব নকল ফোন রাজধানীর দুইটি মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন মোবাইল মার্কেটে অর্ধেক দামে বিক্রি হয়ে আসছে। তাদের তৈরি নকল ফোন দেখতে এতোটাই নিখুঁত যে ক্রেতাদের কোনোভাবে বোঝার উপায় নেই যে তার হাতের ফোনটি নকল।

উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মোবাইল তৈরির সরঞ্জাম। ডিবি পুলিশ বলছে, এসব সরঞ্জাম দিয়ে ১ হাজারের বেশি মোবাইল বানানো সম্ভব।

হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটির সদস্যরা দীর্ঘ দিন ধরে ভিভো, অপো, আইফোন, রেডমি, রিয়েলমি স্মার্ট ফোন ও নোকিয়া বাটন ফোনের মাদারবোর্ড ও বিভিন্ন নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে এসব নামি-দামি ব্র্যান্ডের নকল ফোন তৈরি করে আসছে। এরপর তারা আইএমইআই স্টিকার ও ফোনের বক্সসহ অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে এসব নকল ফোন রাজধানীর মোতালেব প্লাজার ও নাহার প্লাজাসহ ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে কুরিয়ার করে বিক্রি করে আসছিল। পরে ব্যবসায়ীরা এসব ফোন সেকেন্ড হ্যান্ড বলে নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেক দামে বিক্রি করে। তাদের এই নকল ফোন দেখতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আসল ফোনের মতো। এমনকি আসল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমও ব্যবহার করা হয় এসব নকল ফোনে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত